‘হিন্দুদের ভােট দেয়া হারাম’

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে :দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ সােমবার বাউফলপৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনােনীত মেয়র প্রার্থীসহ তিন কাউন্সিলর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ায় ভােটের জৌলুস অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।  বাকি সাতটি সাধারণ ও দুটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মােট ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন| তাদের ভােট নিয়ে সরগরম রয়েছে বাউফল পৌর শহর। তবে ভােটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একে অপরের প্রতি ধর্মীয় ফতোয়া দেয়ায় নতুন করে ভাবনায় ফেলেছে ভােটারদের।  |

সরজমিন ওয়ার্ডগুলাে ঘুরে জানা গেছে, ইতােমধ্যেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে বাধা, প্রভাব বিস্তার এবং হামলাসহ আচরণবিধি লঙ্ঘনেরপাল্টাপাল্টি অভিযােগ রয়েছে। শেষ সময়ে বাড়ছে উত্তেজনা। অপরদিকে সাধারণ ভােটার ও প্রার্থীদের দাবি সুষ্ঠু ,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তবে ১ নম্বরওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শংকর পাল  অভিযােগ করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হারুন মল্লিক ও তার সমর্থকরা হিন্দুদের   । ।

 

 

জানিয়েছেন।ভােট দিলে বেহেস্ত হারাম হয়ে যাবে এবংযারা ভোট দেবেন তাদের নামাজ-বোজা   হবে না বলে অপপ্রচার করছেন। শংকর বলেন, ভােটের মাঠ থেকে আমাকে উঠে যেতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। 

এছাড়া এছাড়া রাতের আঁধারে টাকা ছড়িয়ে।ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। জানা যায়, সচেতন ভােটাররা ফতােয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও সাধারণ ভােটারদের মধ্যে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ভােটের মাঠে শংকর পাল এগিয়ে রয়েছেন বলে  সিংহভাগ সাধারণ ভােটাৱা অভিমত  জানিয়েছেন। 

 

৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে  আলোচনায় বঘ্ৰেছেন তরুণ প্রার্থী সাংবাদিক মাে. শিবলী সাদেক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলরনুরুল হক মাস্টার। এরই মধ্যে প্রচারে বাধা এবং সমর্থককে মারধর করে হেনস্তা কব্রা ও হুমকি দেয়ার অভিযােগ রয়েছে নূরুল হক মাটরের বিরুদ্ধে। যদিও

অভিযােগ অস্বীকার করেছেন তিনি। ওই ওয়ার্ডের ভােটাদের ধারণা শিবলী সাদেক ও নুরুল হক মাস্টারের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আল মামুন আকন এবং সাবেক কাউন্সিলর হােসেন আলী   বাবুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ওয়ার্ডে একটি উঠান বৈঠকে আল মামুন আকন | হামলার শিকাব্র হয়ে রক্তাক্ত হন।  | ২, ৪ এবং ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে  । |  শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির তিন হয়ে গেছে।  প্রার্থী ইউনুস খান, হুমায়ন কবি ও  সরােয়ার হােসেন টিটু। এর মধ্যে ৪ নম্বর। ওয়ার্ডে হুমায়ন কবীর ও ব্ৰিয়াদ খানের  মধ্যে হাজাহাডিড লড়াই হতে পারে। 

বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত ঘটনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একে অপরের প্রতি |  পরিপ্রেক্ষিতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের শংকর  জানিয়েছেন।পাল, ৭ স্বর ওয়ার্ডের শিবলী সাদেক এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আল মামুন আকন সরজমিন ওয়ার্ডগুলাে ঘুরে জানা । সুষ্ঠু ভােট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে সব প্রার্থীই প্রশাসনের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু ভােট অনুষ্ঠানের দাবি জানান|

  এ ব্যাপারে উপজেলা সহকার্বী ব্রিটার্নিং কর্মকর্তা মাে. তারিকুল ইসলাম  বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের থেকে , একাধিক অভিযােগ পেয়েছি। সবগুলােই ।  সমাধান করার চেষ্টা করেছি। সুষ্ঠু, অবাধ  ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।শঙ্কিত হওয়ার কোনাে কারণ নেই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *